ঢাকা,বুধবার, ৮ মে ২০২৪

আলীকদমে সড়কের ইট তুলে নিলো এলজিইডি’র ঠিকাদার, জনদুর্ভোগ চরমে

আলীকদম প্রতিনিধি :: সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের নামে তিন মাসে আগে রাস্তার ইট তুলে নিয়ে গেছে ঠিকাদার। এ কারণে সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল ও গ্রামবাসীদের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। এলজিইডির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ও সংশ্রিষ্ট ঠিকাদারকে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও এলাকাবাসীর পক্ষে বারবার তাগাদা দিলেও কাজ হয়নি। এটি বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর পালং পাড়ায়।

জানা গেছে, এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপজেলা শহর (নন্‌-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আলীকদম সদর ইউনিয়নে মুরং কমপ্লেক্স সড়ক ও উত্তর পালং পাড়া সড়ক সংস্কারে বান্দরবান এলজিইডি থেকে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত অর্থবছরের শেষের দিকে, সংশ্রিষ্ট ঠিকাদার কাজ শুরু করে এ দু’টি এইচবিবি সড়কের সমস্ত ইট তুলে নিয়ে যান। কিছুদিন পর পর অল্পবৃষ্টির ফলে সড়কে কাদা জমে যায়। ফলে পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

সরজমিন দেখা গেছে, সড়কের যে অংশে আরসিসি ঢালাই দেয়া হয়েছে তাতে গুণগত মান বজায় রাখা হয়নি। তাছাড়া সড়কের দু’পাশের অনেকাংশে সাইডে মাটি না দেয়ায় সড়ক কাঠামো দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে উত্তর পালং পাড়ার বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ জানান, ঠিকাদার এলইজিইডির সিডিউল মতো কাজ করেনি। আরসিসি ঢালাইয়ের নিচে ভালোভাবে বালি দেয়া হয়নি। ঢালাইয়ের গুরুত্বও বেশি নয়। যা সরজমিন তদন্ত করলেই বুঝা যাবে। ১নং আলীকদম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু সালাম জানান, প্রকল্পের রাস্তাটি আমার ওয়ার্ডের। এলজিইডির ঠিকাদার কেন সংস্কারের নামে রাস্তার ইট তুলে নিয়ে গেল জানি না। এতে পাড়ার এলাকার লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানকে দিয়ে ঠিকাদারকে ফোন করিয়েছি।

এ ব্যাপারে কাজ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঠিকাদার শাহাদত হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে সঠিক সময়ে কাজ করা যায়নি। ‘এ বছরতো এখানে তেমন বৃষ্টি হয়নি’ এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই কাজ শুরু করবো। ঠিকাদার শাহাদত কোনো সদুত্তর দিতে না পেরে তার পার্টনার রিটল বিশ্বাস এর সঙ্গে কথা বলতে বলে কল কেটে দেন।

বান্দরবান এলইজিইডির সিনিয়র প্রকৌশলী জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারকে ডেকে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়ছে। যদি না করে তাহলে ব্যবস্থা নেবো। উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন, (নন্‌-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়ে একটু ঝামেলায় পড়েছি। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে মৌখিকভাবে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করবে টিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

পাঠকের মতামত: